আগষ্টের শুরুতেই করোনা আক্রান্ত সেঞ্চুরি অতিক্রম করলো পূর্ব বর্ধমানে

1st August 2020 8:21 pm বর্ধমান
আগষ্টের শুরুতেই করোনা আক্রান্ত সেঞ্চুরি অতিক্রম করলো পূর্ব বর্ধমানে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : আগষ্টের শুরুতেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা সেঞ্চুরি অতিক্রম করলো । জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ‍্য অনুসারে গোটা জেলায় করোনা পজিটিভ ১২১ জন ! গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে বলেই মনে করছেন বহু জন । ১২১ জনের মধ‍্যে জামালপুর ব্লকে - ৩৯ জন , ভাতার ব্লকে - ৫১ জন , বর্ধমান ১ ব্লকে - ৩ জন , বর্ধমান ২ ব্লকে - ২ জন , বর্ধমান পৌরসভা - ১০ জন , কালনা১ ব্লকে - ১ জন , কালনা ২ ব্লকে - ১ জন , কালনা পৌরসভা - ২ জন , মন্তেশ্বর - ১ জন ,  মেমারী ১ ব্লকে - ৩ জন , পূর্বস্থলী ১ ব্লকে - ৩ জন , পূর্বস্থলী ২ ব্লকে - ১ জন , রায়না ২ ব্লকে - ১ জন , কাটোয়া পৌরসভা - ৩ জন করোনা রিপোর্ট পজিটিভ । সবথেকে দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে জামালপুর ব্লক ও ভাতার ব্লক । ইতিমধ‍্যেই জামালপুর ব্লক হাসপাতালের জরুরী বিভাগ ছাড়া সমস্ত বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । ৯ জন স্বাস্থ‍্য কর্মীকে পাঠানো হয়েছে হোম আইসোলেশনে । পাশাপাশি ভাতার ব্লকে করোনা আক্রান্তের সংখ‍্যা হাফ সেঞ্চুরি পার করেছে একদিনে । তাহলে কি ফের লকডাউন ? ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কাছে জানানো হয়েছে সামগ্ৰিক বিষয় সম্পর্কে । জামালপুর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক শুভঙ্কর মজুমদার জানিয়েছেন , জেলাশাসকের কাছে লকডাউনের বিষয়ে তিনি আবেদন করেছেন । অন্তত কিছুদিনের জন‍্য লকডাউনের প্রয়োজন । কি পদক্ষেপ নেয় জেলা প্রশাসন তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে । ভাতার ব্লকে ৫১ জনের মধ‍্যে বামশোর ১৩ জন , ভাটাকুল ৪ জন , বাউরীপাড়া ৩ জন , সাহেবগঞ্জ ১ জন , ভূমশোর ১ জন , হাঁড়গ্ৰাম ২৪ জন , রতনপুর ২ জন , বামুনাড়া ১ জন , সেঁড়ুয়া ১ জন , ভাতার রবীন্দ্রপল্লী ১ জন এর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ বলে জানা গেছে । এলাকাজুড়ে সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন । জেলায় কোথায় কতজন আক্রান্ত দেখে নিন তালিকা 👇👇





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।